গর্ভকালীন কোন খাবার বেশি উপকারী? সম্পূর্ণ গাইড!

গর্ভকালীন কোন খাবার বেশি উপকারী?-

গর্ভাবস্থা একটি নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল সময়। এই সময়ে মা ও গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতা নির্ভর করে সঠিক যত্ন ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের উপর। তাই ‘গর্ভকালীন কোন খাবার বেশি উপকারী’ এই প্রশ্নের উত্তর জানা প্রতিটি হবু মায়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ধাপে কোন ধরণের খাবার প্রয়োজন, কোন পুষ্টি উপাদানগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে আপনি একটি সুষম খাদ্যতালিকা তৈরি করতে পারেন।

গর্ভকালীন পুষ্টির গুরুত্ব-

গর্ভাবস্থায় একজন মাকে শুধু নিজের জন্য নয়, গর্ভের শিশুর জন্যও যথেষ্ট পুষ্টি সরবরাহ করতে হয়। এই সময় খাবারে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদির পরিমাণ সঠিকভাবে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি গ্রহণ গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি, মায়ের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার?-

গর্ভকালীন সময়ে খাবার তালিকায় একই ধরনের খাবার বেশি রাখা ঠিক নয়। প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সহজ হবে। পাশাপাশি কোনো খাবারের প্রতি একঘেয়েমিও আসবে না। গর্ভাবস্থায় আপনার কোন কোন খাবারে রুচি  আসতে পারে এমন খাবারের ক্ষেত্রেও এক সাথে বেশি করে খেয়ে ফেলবেন না। চেষ্টা করবেন পরিমিত পরিমাণে খেতে। কারও কারও ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় অরুচি হয়। আবার কখনো বমি বমি লাগে কিংবা বুক জ্বালাপোড়া করে। খেতে তেমন ইচ্ছা করে না। এমন ক্ষেত্রে তিনবেলা অনেকখানি করে খাবার না খেয়ে দিনে ছয়বার অল্প অল্প করে খেতে পারেন। র্ভকালীন সময়ে শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার দিয়েই আপনার পুষ্টির সুবটুকু চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না-ও হতে পারে। আপনার ও গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল সেবন করা প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় কোন মাসে কতটুকু বেশি খাবার খেতে হবে?-

গর্ভধারণ করেছেন বলেই যে খাওয়াদাওয়া অনেক বাড়িয়ে দিতে হবে—বিষয়টি এমন নয়। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে সাধারণত বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। তবে এর পরের মাসগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যতটা সম্ভব বাদ দেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় কতটুকু অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে সেটি খাবারে থাকা ক্যালরির সাহায্যে হিসাব করা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় বাড়তি খাবারের বা ক্যালরির এই চাহিদা একই ধরনের খাবার বেশি পরিমাণে খেয়ে পূরণ না করে বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে মেটানো উচিত। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য থাকলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ হবে।

মাস থেকে মাসের গর্ভবতীর খাবার তালিকা-

এই সময় ভ্রূণের গঠন শুরু হয়। ফলেট সমৃদ্ধ খাবার, ডিম, শাক-সবজি, ফলমূল এবং ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সকালে বমিভাব কমাতে বিস্কুট বা হালকা খাবার রাখা যেতে পারে।

গর্ভকালীন সময়ের প্রথম তিন মাসে তেমন একটা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসময়ে আপনার খাবার তালিকা তথা ক্যালরির চাহিদা আপনার উচ্চতা, ওজন ও দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণসহ বেশ কিছু জিনিসের ওপরে নির্ভর করবে। ওজন বাড়তে থাকলে সেই অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ কমিয়ে এবং ব্যায়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে স্বাভাবিক ওজনে আসার চেষ্টা করতে পারেন।

আবার ওজন কমতে থাকলে ব্যায়াম স্বাভাবিক রেখে খাবারের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। এসব বিষয়ে একজন রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার জন্য বিশেষভাবে খাবার তালিকা প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারবেন।

গর্ভবতী নারীর সারাদিনের খাবার তালিকার একটি নমুনা নিচে তুলে ধরা হয়েছে। এই তালিকাটি ১৮০০ ক্যালরির। উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, গর্ভধারণের আগের ওজন ৫৫ কেজি ও সপ্তাহে ২–৩ দিন হালকা ব্যায়াম করেন এমন নারীর জন্য এই তালিকাটি প্রযোজ্য।

খাবারের ধরন পরিমাণ
ভাত (লাল চালের হলে ভালো হয়) ২.৫–৩ কাপ (৫০০–৬০০ গ্রাম)
গাঢ় সবুজ ও রঙিন শাক ১–১.৫ বাটি (২৫০–৩৭৫ গ্রাম)
হলুদ অথবা কমলা ফল ও সবজি ১ বাটি (২৫০ গ্রাম)
ডিম ১টি
দুধ ১ গ্লাস (২৫০ গ্রাম)
মাছ অথবা মাংস ১ টুকরা (৫০ গ্রাম)
ঘন ডাল ২ বাটি (৫০০ গ্রাম)

উল্লেখ্য, এই তালিকার খাবারগুলো রান্না করার সময়ে প্রয়োজনে সীমিত পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়েছে। অতিরিক্ত রান্নার তেল ব্যবহার খাবারের পুষ্টিগুণ তেমন না বাড়ালেও ক্যালরির পরিমাণ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।

মাস থেকে মাসের গর্ভবতীর খাবার তালিকা-

৪-৬ মাস এই সময়ে শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠন বাড়ে। তাই ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা জরুরি। ৬-৯ মাস এ সময় শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে, তাই বেশি পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন ও ক্যালরি প্রয়োজন। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল খেতে হবে।

গর্ভের শিশুর বেড়ে ওঠার সাথে সাথে গর্ভবতী নারীর খাবারের চাহিদাও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তাই গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের পর থেকে খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়াতে হয়। একজন স্বাভাবিক ওজনের  মাস থেকে মাসের গর্ভবতীর প্রথম তিন মাসের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৪০ ক্যালরি পরিমাণ অতিরিক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে একজন স্বাভাবিক ওজনের  মাস থেকে মাসের গর্ভবতীকে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত প্রায় ৪৫০ ক্যালরির খাবার খেতে হবে। তবে আপনার ওজন বেশি হলে আরেকটু কম পরিমাণে অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। এই বিষয়ে আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে বিস্তারিত পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা পূরণে প্রতিদিন তিন বেলার খাবার খাওয়ার পাশাপাশি দিনে আরও দুই বার হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাবারটি হতে পারে একটি ফল, ৫–৬টি বাদাম অথবা আধা কাপ টক দই। এ ছাড়াও ক্ষুধা লাগলে আপনি যেকোনো সময়েই পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিতে পারেন।

খাবারে ক্যালরির হিসেব কীভাবে আন্দাজ করবেন?

সতর্কতা-

গর্ভাবস্থায় বিভিন্নভাবে ডিম খেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে যেন সেটি পুরোপুরি সিদ্ধ বা রান্না হয়। দুধের ক্ষেত্রে পাস্তুরিত দুধ বেছে নিতে হবে। এই বিষয়ে আর্টিকেলের পরবর্তী অংশে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আপনার গর্ভে যমজ অথবা একসাথে দুইয়ের বেশি বাচ্চা থাকলেই যে আপনাকে সে অনুযায়ী বেশি করে অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে, এমনটা নয়। সাধারণত গর্ভে যমজ শিশু থাকলে দৈনিক প্রায় ৬০০ ক্যালরি সমমানের বাড়তি খাবার খেতে হয়। আর একত্রে তিনটি সন্তান গর্ভধারণ করলে দৈনিক প্রায় ৯০০ ক্যালরি অতিরিক্ত খাবার খেতে হয়।

গর্ভকালীন কোন খাবার বেশি উপকারী ? তালিকাভুক্ত বিশ্লেষণ-

১. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

দুধ, দই ও পনিরে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন বি-১২। এটি গর্ভের শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠন উন্নত করে এবং মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।

২. ডিম

ডিম প্রোটিনের চমৎকার উৎস। এতে চোলিন নামক উপাদান রয়েছে যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।

৩. ডাল ও মসুর

ডাল, মটর, ছোলা ও সয়াবিনে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ফলেট ও ক্যালসিয়াম। ফলেট শিশুর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড গঠনে সহায়ক।

৪. শাক-সবজি

বিশেষ করে পালং শাক, কচু শাক, মেথি শাক ইত্যাদিতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন সি ও আয়রন। এগুলো রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫. ফলমূল

আপেল, কলা, কমলা, আম, পেয়ারা ইত্যাদি ফল গর্ভবতী নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলোতে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার।

৬. সামুদ্রিক মাছ ও ডিমের কুসুম

এগুলোতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৭. বাদাম ও বীজ

বাদাম, চিনাবাদাম, তিল, চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্স সিডস প্রভৃতি হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ।

৮. গোশত (চর্বিহীন)

গরু বা মুরগির চর্বিহীন মাংসে প্রচুর প্রোটিন, আয়রন ও ভিটামিন বি-১২ থাকে। এটি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে এবং মায়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।

৯. পানি ও তরল পদার্থ

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। সাথে সাথে লেবুর পানি, ডাবের পানি বা ফলের রস খাওয়াও উপকারী।

গর্ভবতী নারীদের সুষম খাদ্যতালিকার একটি নমুনা-

 

সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার বিকালের নাস্তা রাতের খাবার
এক গ্লাস দুধ ভাত/রুটি বাদাম হালকা রুটি/ভাত
একটি সিদ্ধ ডিম) ডাল লেবুর শরবত বা ডাবের পানি শাক-সবজি
একফালি টোস্ট বা ওটস সবজি বিস্কুট/চিঁড়া এক গ্লাস দুধ
একটি ফল (যেমন আপেল বা কলা) সামান্য পরিমাণ মাছ/মাংস
এক গ্লাস দুধ টক দই

গর্ভাবস্থায় পরিহারযোগ্য কিছু খাবার-

  • কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম ও মাছ
  • ক্যাফেইন ও সফট ড্রিংকস অতিরিক্ত মাত্রায়
  • পাস্তুরাইজড না করা দুধ
  • অতিরিক্ত লবণ ও চিনি
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ফাস্ট ফুড

গর্ভবতী মায়ের খাবার কীভাবে তৈরি করবেন?-

খাবার থেকে নানান ধরনের জীবাণু মায়ের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা মা ও শিশু দুইজনেরই স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে খাবার প্রস্তুত করার সময়ে আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। যাতে খাবার পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর থাকে। এজন্য আপনি যা যা করতে পারেন—

  • রান্না করার আগে এবং কাঁচা খাওয়ার আগে সব ধরনের ফল ও শাকসবজি ভালোমতো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। যাতে খাবারে কোনো ময়লা (যেমন: মাটির কণা) না লেগে থাকে।
  • কাঁচা খাবার (যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, শেলফিশ ও শাকসবজি) কাটা, ধোয়া অথবা রান্নার পর অবশ্যই প্লেট, থালাবাসন, রান্নার পাত্র ভালোমতো সাবান, ডিশওয়াশিং লিকুইড অথবা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিবেন। সবশেষে নিজের হাতদুটোও ভালোমতো সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
  • কাঁচা মাছ ও মাংস কাটার জন্য আলাদা ছুরি, বটি ও কাটার বোর্ড ব্যবহার করবেন।
  • কাঁচা খাবার ও রান্না করা খাবার ফ্রিজের পৃথক তাকে আলাদা করে এবং ঢাকনা বন্ধ করা বাটিতে অথবা প্যাকেটে (যেমন: জিপলক ব্যাগে) সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করবেন।
  • বাইরে থেকে আনা খাবার অথবা রান্না করা খাবার ফ্রিজ থেকে বের করার পর ঠিকমতো গরম না করে খাবেন না।
  • ফ্রিজে বেশিদিন সংরক্ষণ করা খাবার খাবেন না। টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

গর্ভকালীন কোন খাবার বেশি উপকারী – বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি

বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, যেসব মা সুষম পুষ্টি গ্রহণ করেন, তাদের শিশুর ওজন গড়ে বেশি হয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয় এবং জন্ম-পরবর্তী জটিলতা কমে যায়। বিশেষত ফলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত করে।

উপসংহার-

গর্ভাবস্থা নারী জীবনের এক অমূল্য ধাপ। এই সময়ে সঠিক খাদ্য গ্রহণ মা ও গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই ব্লগে দেখেছি “গর্ভকালীন কোন খাবার বেশি উপকারী” এবং কীভাবে তা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা। সুস্থ মা মানেই সুস্থ শিশু, আর সুস্থ শিশু মানেই একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ।

প্রশ্নোত্তর-

প্রশ্ন: প্রতিদিন কতটা পানি খাওয়া উচিত?
উত্তর: প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। গরমকালে এর চেয়ে বেশি খেতে হবে।

প্রশ্ন: আয়রনের ভালো উৎস কী কী?
উত্তর: পালং শাক, ডাল, কিসমিস, ডিমের কুসুম ও গরুর মাংস আয়রনের ভালো উৎস।

প্রশ্ন: ফলেট কিসে পাওয়া যায়?
উত্তর: শাকসবজি, ডাল, ব্রকলি, কমলা জাতীয় ফলে প্রচুর ফলেট থাকে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
Scroll to Top