স্ট্রেচ মার্ক কেন পড়ে

প্রেগন্যান্সিতে স্ট্রেচ মার্ক কেন পড়ে?

গর্ভাবস্থায় স্ট্রেচ মার্ক কেন পড়ে ও কখন থেকে সতর্ক হলে দাগ কম/রোধ করা যায় জানুন।

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে নতুন জীবনের সঙ্গে সঙ্গে নানা পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ একটি সমস্যা হলো স্ট্রেচ মার্ক—বিশেষ করে পেট, কোমর, উরু ও স্তনের চারপাশে। তবে সুখবর হলো, সঠিক সময়ে যত্ন নিলে এই দাগ পড়া অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এছাড়া, গর্ভাবস্থায় স্ট্রেচ মার্ক কেন পড়ে তা বুঝতে পারলে, প্রাথমিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভব।

প্রেগন্যান্সিতে স্ট্রেচ মার্ক কেন পড়ে?

গর্ভাবস্থায় দ্রুত ওজন বৃদ্ধি ও বেবি বাম্পের কারণে পেটের ত্বক দ্রুত প্রসারিত হয়।এই টান ত্বকের কোলাজেন ও এলাস্টিন ফাইবারে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে মাইক্রো-ফাটল তৈরি হয়। ফ্যামিলি হিস্ট্রি, ত্বক শুষ্ক থাকা, ও হরমোনাল পরিবর্তনও বড় ভূমিকা রাখে।
অর্থাৎ: ত্বক যত বেশি শুষ্ক ও কম ইলাস্টিক হবে, দাগ পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

এবং তাই, অনেকেই জানতে চান, স্ট্রেচ মার্ক কেন পড়ে।

গর্ভকালীন সময়ে যদি ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ রাখা যায় এবং শরীরে পর্যাপ্ত কোলাজেন উৎপাদন হয়, তবে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ে। এতে ত্বক প্রসারণের চাপ সামলাতে পারে এবং দাগ পড়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

কিন্তু বাস্তবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার সুস্থ বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের শরীর থেকে প্রচুর পুষ্টি খরচ হয়। এর ফলে মায়ের ত্বকে প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি তৈরি হয় এবং হরমোনাল পরিবর্তনের প্রভাবও যোগ হয়। এই অবস্থায় ত্বক নিজেকে টানটান রাখতে পারে না, ফলে ফেটে গিয়ে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হয়।

এই দাগ শুধু শারীরিক নয়, অনেক মায়ের কাছে এটি মানসিক অস্বস্তি ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সমাধান কী?

যেহেতু গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়, তাই বাহ্যিক যত্ন নেওয়া জরুরি। এ সময় এমন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা উচিত, যাতে থাকে:

  • Vitamin E – ত্বক মসৃণ ও নরম রাখে
  • Shea Butter – গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে
  • Cocoa Butter – ত্বককে পুষ্টি জোগায় ও হাইড্রেটেড রাখে
  • Natural Oils – কোষ পুনর্গঠন ও কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক

এই উপাদানগুলো ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ইলাস্টিসিটি উন্নত করে, পুরনো দাগ হালকা করে এবং নতুন দাগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কিন্তু কোন ক্রিম ভালো কাজ করে?

বাজারে অনেক ধরনের Anti Stretch Mark Cream পাওয়া যায়। তবে কোনটি আসলেই কার্যকর, তা বুঝে নেওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।

সঠিকভাবে বাছাই করতে হলে সবসময় এমন প্রোডাক্ট খুঁজতে হবে যেটি:

  • প্রেগন্যান্সি-সেইফ
  • Dermatologist-tested
  • Vitamin E, Shea Butter, Cocoa Butter, Natural Oils সমৃদ্ধ
  • হালকা টেক্সচারের এবং সহজে শোষিত হয়

কখন থেকে এই ধরণের Anti Stretch Mark Cream ব্যবহার করবেন/ করা উচিৎ?

প্রেগন্যান্সির প্রথম ট্রাইমেস্টার (প্রায় ৩ মাসের শুরু থেকেই) ব্যবহার শুরু করা সবচেয়ে ভালো। এই সময় থেকেই ত্বক ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে। আগে থেকেই ময়েশ্চারাইজড ও ইলাস্টিক থাকলে দাগ পড়ার ঝুঁকি কমে যায়। দেরি করে (৫-৬ মাস পর) ব্যবহার শুরু করলে দাগ আগে থেকেই তৈরি হয়ে যায়, তখন শুধু হালকা করা সম্ভব।

👉 তাই আগেভাগে শুরু করলে প্রতিরোধমূলক ফলাফল সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায়।

Anti Stretch Mark Cream কীভাবে কাজ করে?

ভালোমানের স্ট্রেচ মার্ক ক্রিমে থাকে Vitamin E, Shea Butter, Cocoa Butter, Natural Oils ইত্যাদি উপাদান, যা—

  • ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে
  • কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান রাখে
  • ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে ত্বককে প্রসারণে সক্ষম করে
  • পুরনো দাগ হালকা করে এবং নতুন দাগ প্রতিরোধে সহায়তা করে

বাজারে অনেক ক্রিম থাকলেও কোনটা ভালো কাজ করছে?

বাজারে নানা ধরনের Anti Stretch Mark Cream পাওয়া যায়। তবে Aichun Beauty Anti Stretch Mark Cream অনেক মায়ের কাছে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে— তবে এটি কমদামে নকল পণ্য কিনে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে।

Aichun Beauty Anti Stretch Mark Cream প্রেগন্যান্সি-সেইফ ফর্মুলা, Vitamin E ও Shea Butter সমৃদ্ধ, হালকা টেক্সচার, সহজে শোষিত হয়, নিয়মিত ব্যবহারে নতুন দাগ প্রতিরোধ ও পুরনো দাগ হালকা করতে সহায়ক

👉 আসল প্রোডাক্টটি সম্পর্কে জানুন: Aichun Beauty Anti Stretch Mark Cream

সেনসিটিভ স্কিনে প্যাচ টেস্ট জরুরি?

গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের ত্বক স্বাভাবিকের তুলনায় আরও বেশি সেনসিটিভ হয়ে যায়। তাই যেকোনো নতুন ক্রিম, লোশন বা অয়েল ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। এতে বোঝা যায়—প্রোডাক্টটি আপনার ত্বকে কোনো ধরনের অ্যালার্জি, লালচে দাগ বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে কি না।

প্যাচ টেস্ট কী?

প্যাচ টেস্ট হলো একটি ছোট্ট পরীক্ষা যেখানে কোনো প্রোডাক্ট সরাসরি পুরো শরীরে ব্যবহার না করে প্রথমে সীমিত একটি জায়গায় অল্প পরিমাণ লাগানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কি না সেটাই পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্যাচ টেস্ট কীভাবে করবেন?

  • একটি ছোট জায়গা বেছে নিন– সাধারণত হাতের ভেতরের অংশ (inner arm) বা কানের পেছনে করা হয়।
  • অল্প পরিমাণ প্রোডাক্ট লাগান– মটর দানার সমান (pea-sized) পরিমাণ যথেষ্ট।
  • ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন– এই সময়ের মধ্যে লালচে দাগ, চুলকানি, ফুসকুড়ি বা জ্বালাপোড়া হয় কি না খেয়াল করুন।
  • রেজাল্ট দেখুন

কোনো প্রতিক্রিয়া না হলে প্রোডাক্টটি ব্যবহার করা নিরাপদ বলে ধরা যায়।

সমস্যা দেখা দিলে সেটি ব্যবহার না করাই ভালো এবং প্রয়োজনে ডাক্তারকে দেখান।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

  • অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি এড়ানো যায়
  • প্রেগন্যান্সি-সেইফ কিনা বুঝতে সুবিধা হয়
  • ত্বক অ্যালার্জি বা ফুসকুড়ি প্রতিরোধে কার্যকর

মূল কথা: প্রতিটি ত্বক ভিন্ন, তাই যেকোনো Anti Stretch Mark Cream ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
Scroll to Top